My Recipes, My Way
বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪
ইলিশ মাছের লেজের ভর্তা
মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪
deemer rejala
ডিমের রেজালা
উপকরণ : ডিম চারটে
কাঁচা লংকা -চারটে
পেয়াজ - ছোট তিনটে
নারকেল পোস্ত বাটা - চার টেবিল চামচ
মাখন - পঁচিশ গ্রাম
নারকেলের দুধ - তিন চামচ
কিসমিশ - গোটা কুড়ি
আস্ত শুকনো লংকা -তিনটে
তেজপাতা - একটা
কাশ্মিরি লাল লংকার গুড়ো -half চা চামচ
টক দই - তিন টেবিল চামচ
প্রণালী - প্রথমে ডিম সেদ্ধ করে ছাড়িয়ে রাখতে হবে। এবার কাচালংকা,
পেয়াজ, কিসমিশ বেটে রাখতে হবে.এবার কড়াইতে অল্প মাখন দিয়ে
তেজ পাতা ও শুকনো লংকা ফোড়ন দিয়ে তারমধ্যে নারকেলের দুধ ও
টক দই বাদ দিয়ে বাকি সব মশলা দিয়ে একটু সময়ে কষতে হবে। এবার
একটা পাত্রে দই একটু নুন দিয়ে ভালোকরে ফেটাতে হবে। তারপর রান্না
মশলাতে দইটা ঢালতে হবে। মিনিট পাঁচেক কষতে হবে। বেশ তেল ছেড়ে আসলে
তাতে ডিম দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে নারকেলের দুধ দিতে হবে.একটু
পরে বাকি মাখন দিয়ে নামাতে হবে। তৈরি ডিমের রেজালা।
চেখে দেখুন। মন ভালো হতে বাধ্য।
শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২
বড়ি ভর্তা।
বাঙালির রসনা ঝোলে ঝালে অম্বলে মাখামাখি। এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলে খুব ইচ্ছে করছে।বলি? বলি তাহলে।সারা বাংলা অর্থাৎ পুব পশ্চিমের রান্নাঘরের ভাঁড়ারে কতশত ভিন্নরকমের সবজি, মাছ আছে তার তালিকা মনে হয় দিয়ে শেষ করা যাবে না। আর তারা স্বাদে গন্ধে বর্ণে অতুলনীয়। আজ এমনই এক ভিন্ন স্বাদের, ভিন্ন গোত্রের খাবার নিয়ে আমি কস্তুরী হাজির হয়েছি আপনাদের দরবারে। একটু চেখে দেখবেন। একশো ভাগ গ্যারান্টি দিচ্ছি এর স্বাদ গরম ভাতে অনন্য।
উপকরণ:বিউলি ডালের বড়ি-১০০গ্রাম।
পোস্ত-৪টেবিল চামচ।
শুকনো লঙ্কা-২টা।
নারকেল কোরা-৪টেবিল চামচ।
কাঁচালঙ্কা-২টা।
চিনি-সামান্য।
সর্ষে তেল।
নুন-স্বাদ অনুসারে।
প্রণালী:প্রণালী শুরু করার আগে একটা ছোট্ট কথা বলে নি।যাঁরা ডায়বেটিক অর্থাৎ সুগারের রুগী তাঁরা চিনির বদলে Natura কোম্পানির SugarFree ব্যবহার করতে পারেন। এটা মূলত diet sugar।এই sugar free sucralose এর পরিমাণ 98.5%। চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী এটা রান্নায় বা চা কফি, দুধে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়।আমি নিজে ডায়বেটিক। আমি গত বারো বছর এটা ব্যবহার করি।
এবার আসা যাক প্রণালীতে।
প্রথমে কড়াইতে প্রায় চার টেবিলস্পুন সর্ষে তেল দিয়ে প্রথমে শুকনো লঙ্কা দুটো ভেজে তুলে রাখবেন। তারপর বড়ি গুলো লালচে করে ভেজে তুলবেন। লালচে হবে কিন্তু লাল নয়।বড়ি যখন ভাজবেন তখন গ্যাসের ফ্লেম মাঝারীতে দিয়ে রাখবেন।নয়তো বড়ি তেল শুষে নেবে।
এবার পোস্ত, কাঁচালঙ্কা সমেত মিহি করে বেটে নেবেন। তারপর একটা বড় থালাতে বড়িগুলোকে হাত দিয়ে ভেঙে নেবেন।গুঁড়ো করবেন না। তারমধ্যে পোস্ত বাটা নারকেল কোরা ,স্বাদ অনুযায়ী নুন, এক চা চামচ চিনি বা সুগার ফ্রী দিয়ে ভালো করে মাখবেন। তারপর ভেজে রাখা শুকনো লঙ্কা দুটো হাত দিয়ে গুঁড়ো করে ওই মাখার মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে নেবেন।সবশেষে সামান্য কাঁচা তেল দিয়ে দেবেন।
এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলি।লঙ্কার ব্যবহার আপনাদের রুচি অনুযায়ী করবেন।কারণ, সবাইতো সমান ঝাল খান না।
তৈরী হয়ে গেল বড়ি ভর্তা।
বাড়িতে অবশ্যই তৈরি করবেন।
সবাই ভালো থাকবেন।আজ চলি। আবার আসবো অন্য কোনো রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে।
মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৫
রসনাকে যারা কিন্চিত পালটাতে চান তারা try করে দেখতে পারেন। মনেহয় খারাপ লাগবে না।
মশলাদার রান্না খেতে খেতে মুখ পচে গেছে। আসুন করি একটা ভিন্নো স্বাদের মুরগি।
মুর্গা মরিচ -
উপকরণ : ছোটো করে কাটা মুরগি - ১ কেজি
টক দই - ৪০০ গ্রাম
নুন - আন্দাজ মতো।
গোল মরিচ গুড়ো - আন্দাজ মতো। খুব ঝাল হবে না।
সর্ষে তেল-দুই চা চামচ, দুধ - দুই হাতা।
marination: মুর্গী ভালো করে ধুয়ে টক দই ,নুন ও গোল মরিচ গুড়ো মাখিয়ে রাখতে হবে। রাতে রাধলে সকালে মাখাতে হবে।
প্রোণালী : কড়াইতে তেল দিয়ে মাখা মুর্গী ঢেলে দিতে হবে। এবার ঢাকা দিতে হবে। মুর্গী দিয়ে জল বেরিয়ে সেদ্ধ হয়ে যাবার পর একটু নাড়তে হবে। এরপর দুধের মধয়ে তেল মিশিয়ে রান্নাতে দিতে হবে। একটু নাড়লেই তৈরী মুর্গা মরিচ।
আসুন তবে হাত লাগাই। রুটি কিম্বা পরোটার সাথে just জমে যাবে।
প্রণালী : প্রোথমে লাউ শাক ধুয়ে নুন হলুদ মাখাতে হবে। এবার মাছ ধুয়ে নুন হলুদ মাখাতে হবে। এরপর কড়াইতে প্রোথমে শাক পাতিয়ে মাছ দিতে হবে। এইভাবে দুই তিন ধাপে সাজাতে হবে। এবার অনেকটা তেল, পরিমাণ মতো নুন দিতে হ্বে। কাঁচালংকা চিরে দিতে হবে। ঢাকা দিয়ে gasএ বসাতে হবে। মাঝে মাঝে নাড়াতে হবে। আনদাজ কুড়ি পচিশ মিনিট পরে তেল মাছ লাউ পাতা মাখামাখি হয়ে গেলে ও মাছ সেদ্ধ হল; তৈরী লাউ পাতা কই মাছ।
জমিয়ে খান , জমিয়ে খাওয়ান।