বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪

ইলিশ মাছের লেজের ভর্তা

এই রেসিপিটা লেখার আগে একটু ভূমিকা করে নিচ্ছি।
২০২৩সালের জানুয়ারি মাসে আমার ছোড়দা থাকার সুবাদে বাংলাদেশ বেড়াতে গিয়েছিলাম।ভর্তা ব্যাপারটা নিয়ে একটা আবছা ধারণা ছিল।আমাদের বাড়িতে ডিম বেগুনের ভর্তা হতো।মা করতেন। কিন্তু এর বেশি কিছু না।ঢাকায় যে কোনো রেস্টুরেন্টে গেলেই প্রথমে এক প্লেট বিভিন্ন রকম ভর্তা পরিবেশন করা হয়।সব খেতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। সেখানে রকমারি ভর্তা দেখে এবং চেখে মন মাতোয়ারা। ঢাকার মাওয়া ঘাটে টাটকা ইলিশ মাছের লেজের ভর্তা খেয়ে আমি তো পুরো ফিদা হয়ে গিয়েছিলাম।আমার ছোট বৌদি ইলিশ মাছের ভর্তা বিশেষভাবে অর্ডার দিয়েছিল। সেই ভর্তার রেসিপি নিয়ে এলাম আপনাদের কাছে। অবশ্যই চেষ্টা করবেন। নিরাশ হবেন না।গ্যারান্টি দিতে পারি।
উপকরণ: ইলিশ মাছের লেজ কমপক্ষে দুটো হলে ভালো হয়।
লবণ স্বাদ মত।
আস্ত শুকনো লঙ্কা-৩/৪টে।তবে ঝাল নিজেদের স্বাদ অনুসারে।
পেঁয়াজকুচি -২ টো।
সর্ষে তেল।
বাংলাদেশে এতে রসুন দেয়।আমি দি নি।তাই লিখলাম না। তবে অন্য ভর্তাতে রসুন দিলে স্বাদ বাড়ে।
উপরে দেওয়া উপকরণগুলো দুটো মাছের লেজ অনুযায়ী নিতে হবে।
প্রণালী:
কড়াইতে সর্ষে তেল দিয়ে মাছের লেজগুলো ভালো করে ভেজে তুলতে হবে। এরপর ওতে শুকনোলঙ্কা গুলো ভাজতে হবে যতক্ষণ  না সুন্দর  গন্ধ বেরোচ্ছে।মাছ ভাজার তেল আলাদা করে রেখে দিতে হবে।
এবার নোড়া দিয়ে লেজটাকে থেঁতলে দিতে হবে এর ফলে কাঁটা গুলো বেরিয়ে আসবে।এবার একটা থালায় ভাজা লঙ্কাগুলো লবণ দিয়ে গুঁড়ো করতে হবে।লবণ দিয়ে শুকনো লঙ্কা  সহজে গুঁড়ো করা যায় ।এবার কাঁটা ছড়ানো ভাজা মাছ,পেঁয়াজ কুচি,শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, মাছ ভাজার তেল দিয়ে বেশ করে মাখতে হবে।লবণ আর লঙ্কা প্রয়োজন হলে দিতে হবে।পেঁয়াজ চাইলে ভেজে নিতে পারেন।
এবার পরিবেশনের পালা।তারপর গরম ভাতে ভর্তা দিয়ে মেখে চেটেপুটে খেতে হবে। এ স্বাদ অনন্য।
প্লীজ করে দেখবেন।বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি আর পাতে ইলিশ মাছের লেজের ভর্তা আর গরম ভাত।ভাবুন একবার।

মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪

deemer rejala


                                                              ডিমের  রেজালা


                                উপকরণ : ডিম  চারটে
                                                কাঁচা লংকা -চারটে
                                                পেয়াজ - ছোট তিনটে
                                                 নারকেল পোস্ত বাটা - চার টেবিল চামচ
                                                 মাখন - পঁচিশ গ্রাম
                                                 নারকেলের দুধ - তিন চামচ
                                                 কিসমিশ - গোটা কুড়ি
                                                  আস্ত  শুকনো লংকা -তিনটে
                                                 তেজপাতা - একটা
                                                 কাশ্মিরি লাল লংকার গুড়ো -half চা চামচ
                                                 টক দই - তিন টেবিল চামচ
                                 প্রণালী  - প্রথমে ডিম সেদ্ধ করে ছাড়িয়ে রাখতে হবে। এবার কাচালংকা,
                                                   পেয়াজ,  কিসমিশ বেটে রাখতে হবে.এবার কড়াইতে অল্প মাখন দিয়ে
                                                   তেজ পাতা ও শুকনো লংকা ফোড়ন দিয়ে তারমধ্যে নারকেলের দুধ ও
                                                   টক দই বাদ দিয়ে বাকি সব মশলা দিয়ে একটু সময়ে কষতে হবে। এবার
                                                   একটা পাত্রে দই একটু নুন দিয়ে ভালোকরে ফেটাতে হবে। তারপর রান্না
                                                   মশলাতে দইটা ঢালতে হবে। মিনিট পাঁচেক কষতে হবে। বেশ তেল ছেড়ে আসলে
                                                   তাতে ডিম দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে নারকেলের দুধ দিতে হবে.একটু
                                                   পরে বাকি মাখন দিয়ে নামাতে হবে। তৈরি ডিমের রেজালা।
                                                        চেখে দেখুন। মন ভালো হতে বাধ্য।

ছোট দুটো টিপস: রান্নায় দই দেওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগে ফ্রীজ থেকে বাইরে বের করে রাখবেন। নর্মাল তাপমাত্রায় এলে তবে দেবেন।নয়ত দই কড়াইতে দিতে দিতে কেটে যাবে।
ডিম সেদ্ধ করার সময় নুন দেবেন।তবে ডিমের খোসা ছাড়াতে সমস্যা হবে না।
যাঁরা পুরোনো রাঁধুনি তাঁরা এগুলো জানেন।কিন্তু নতুন রাঁধুনীদের জন্য টিপসগুলো দিলাম।
অবশ্যই রান্না করে দেখবেন।